বিবাহ সম্পর্কিত সাধারণ ভুল এবং খারাপ প্রথা?

বিবাহ সম্পর্কিত সাধারণ ভুল এবং খারাপ প্রথা?

Muslim Weddings

বিবাহ সম্পর্কিত সাধারণ ভুল এবং খারাপ প্রথা?

বিবাহ হল দুজন মানুষের মধ্যে একটি সামাজিক চুক্তি যা তাদের মধ্যে একটি দীর্ঘমেয়াদী বন্ধন তৈরি করে। এটি একটি আনন্দদায়ক এবং ফলপ্রসূ অভিজ্ঞতা হতে পারে, তবে এটি একটি চ্যালেঞ্জিংও হতে পারে। বিবাহের সাফল্যের জন্য, উভয় পক্ষকেই বোঝা উচিত যে কীভাবে একটি সুস্থ এবং সুখী সম্পর্ক তৈরি করতে হয়।
বিবাহ সম্পর্কে একাধিক সমাজে সাধারণভাবে অনেক ভুল এবং খারাপ প্রথা চলছে। বিবাহ একটি সম্প্রদায়ের, সমাজের এবং দুই ব্যক্তির মধ্যে একটি গাহিত সম্পর্ক যা সম্প্রদায়, ধর্ম, সাংস্কৃতিক বিশেষত্ব এবং মানবিক সম্পর্কের প্রতিষ্ঠান করে। তবে, কিছু সাধারণ ভুল এবং খারাপ প্রথা বিবাহের সম্পর্কে একটি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করে যা সম্প্রদায়ের মানবিক উন্নতির পথে বাধা সৃষ্টি করে।

এই সমস্যা সম্পর্কে আলোচনা করতে হলে প্রথমেই দেখা যায় বিবাহে সমাজের মধ্যে একটি বিশেষ গৌরবময় সামাজিক স্থান বা স্থিতি নিয়ে এসেছে যা নিয়ে মানুষের মধ্যে অনেকগুলি ভুল ধারণা এবং প্রথা সৃষ্টি করেছে।

বাংলাদেশে বিবাহ সম্পর্কিত কিছু সাধারণ ভুল এবং খারাপ প্রথা রয়েছে যা বিবাহের সাফল্যের সম্ভাবনা হ্রাস করতে পারে। এই ভুল এবং প্রথাগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • প্রেম না করে বিয়ে করাপ্রেম হল বিবাহের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি। প্রেম ছাড়াবিবাহ দীর্ঘস্থায়ী হওয়া কঠিন।
  • পরিবার বা বন্ধুদের চাপে বিয়ে করাপরিবার বা বন্ধুদের চাপে বিয়ে করা একটি ভুল সিদ্ধান্ত হতে পারে। এই চাপের কারণে আপনি এমন কারো সাথে বিয়ে করতে পারেন যার সাথে আপনার বাস্তব মিল নেই।
  • সামাজিক বা অর্থনৈতিক কারণগুলির কারণে বিয়ে করাসামাজিক বা অর্থনৈতিক কারণগুলির কারণে বিয়ে করাও একটি ভুল সিদ্ধান্ত হতে পারে। এই কারণগুলির কারণে আপনি এমন কারো সাথে বিয়ে করতে পারেন যার সাথে আপনার ব্যক্তিগত মিল নেই।
  • অল্প বয়সে বিয়ে করাঅল্প বয়সে বিয়ে করা একটি বিপজ্জনক সিদ্ধান্ত হতে পারে। কারণ এই সময়ে মানুষ মানসিক এবং আবেগগতভাবে পরিপক্ক হয় না।
  • পরিবারের চাপের কারণে বিবাহ বিচ্ছেদ না করাপরিবারের চাপের কারণে বিবাহ বিচ্ছেদ না করা একটি ভুল সিদ্ধান্ত হতে পারে। এই চাপের কারণে আপনি এমন সম্পর্কে থাকতে পারেন যা আপনাকে সুখী করে না।

বিবাহের সাফল্যের সম্ভাবনা বাড়ানোর জন্য, এই ভুল এবং প্রথাগুলি এড়ানো গুরুত্বপূর্ণ। বিবাহের আগে, আপনাকে অবশ্যই আপনার সঙ্গীর সাথে ভালভাবে কথা বলতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে যে আপনার মধ্যে বাস্তব মিল রয়েছে। আপনাকে অবশ্যই আপনার নিজের চাহিদা এবং আকাঙ্ক্ষাগুলিও বিবেচনা করতে হবে।

কিছু সাধারণ ভুল এবং খারাপ প্রথা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক:

  1. বাচ্চাদের দায়িত্ব প্রত্যাহার: কিছু সমাজে বাচ্চাদের পালন-পোষনে শোষণ এবং দায়িত্বের বাধা রাখে, যা বাচ্চাদের ভাল উন্নতির পথে বাধা সৃষ্টি করে।
  2. বিভিন্ন ধর্মীয় সাংস্কৃতিক বিধান মেনে না চলা: কিছু সমাজে বিবাহের সময় ধর্মীয় সাংস্কৃতিক বিধানগুলির মেধায় বিবাহ হয় না, যা সমাজে বিভাজন এবং অসন্তোষ সৃষ্টি করে।
  3. অনুচিত বিয়ের দায়িত্ব গ্রহণ: কিছু সমাজে বিয়ে বান্ধব বা বিশেষ কারণে নেয়া হয়, যা ভবিষ্যতে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
  4. বিবাহে সমাজিক বাধা: কিছু সমাজে বিবাহে বৈচিত্র্য বা শ্রেণীবদ্ধতার কারণে বাধা রাখা হয়, যা সামাজিক সমানতা এবং সামর্থ্যের অভাব সৃষ্টি করে।

 

এখানে বিবাহ সম্পর্কিত কিছু ভালো প্রথা রয়েছে যা বিবাহের সাফল্যের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলতে পারে:

  • একজন আরেকজনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়াবিবাহের মধ্যে শ্রদ্ধা অপরিহার্য। আপনাকে অবশ্যই আপনার সঙ্গীর মতামত এবং অনুভূতিগুলিকে সম্মান করতে হবে।
  • একজন আরেকজনের প্রতি বিশ্বস্ত থাকাবিশ্বস্ততা বিবাহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। আপনাকে অবশ্যই আপনার সঙ্গীর প্রতি বিশ্বস্ত থাকতে হবে।
  • একজন আরেকজনের সাথে যোগাযোগ করাযোগাযোগ বিবাহের সাফল্যের জন্য অপরিহার্য। আপনাকে অবশ্যই আপনার সঙ্গীর সাথে আপনার চিন্তাভাবনাঅনুভূতি এবং চাহিদাগুলি শেয়ার করতে হবে।
  • একসাথে সময় কাটানোএকসাথে সময় কাটানো বিবাহের বন্ধনকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। আপনাকে অবশ্যই আপনার সঙ্গীর সাথে এমন কার্যকলাপগুলিতে অংশ নিতে হবে যা আপনাকে উভয়কেই উপভোগ করে।
  • একসাথে সমস্যা সমাধান করাসমস্যা সমাধান বিবাহের একটি স্বাভাবিক অংশ। আপনাকে অবশ্যই আপনার সঙ্গীর সাথে সমস্যাগুলি সমাধান করার জন্য একটি ইতিবাচক এবং সহযোগিতামূলক উপায় খুঁজে বের করতে হবে।

বিবাহ একটি সুন্দর এবং ফলপ্রসূ অভিজ্ঞতা হতে পারে। তবে, এটি একটি চ্যালেঞ্জিংও হতে পারে। বিবাহের সাফল্যের সম্ভাবনা বাড়ানোর জন্য, এই ভুল এবং প্রথাগুলি এড়ানো এবং ভালো প্রথাগুলি অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ।

এই সমস্যাগুলি দূর করার জন্য শিক্ষা, সচেতনতা, এবং সমাজের উন্নতির প্রতি আদর্শগুলির প্রতি সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। বিবাহে সমাজের উন্নতির জন্য শিক্ষা, সমান অধিকার, সমান সুযোগ নিশ্চিত করা উচিত। এছাড়াও, প্রয়োজনে আইনি কার্যক্রম নেওয়া উচিত যাতে বিবাহ সম্পর্কে মানুষের অধিকার এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করা যায়।

শেষ কথার মধ্যে, এই সমস্যার সমাধানে সমস্ত সমাজের একটি পরিপ্রেক্ষিতে একত্রিত হওয়া প্রয়োজন, যাতে সমাজের সকল বর্গের মানুষ একটি সুস্থ এবং উন্নত বিবাহ পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারে।

বিয়ের বাড়তি খরচ কি?

বিয়ে একটি সামাজিক ও আর্থিক উৎসব যা অনেকের জীবনের একটি অপূরণীয় অংশ। এটি মানুষের জীবনের একটি মহৎ ঘটনা এবং বিয়ের উপলক্ষে খুব বেশি পরিমাণে ব্যয় হয়। এই বিয়ের বাড়তি খরচ সম্পর্কে আলোচনা করার জন্য সমাজে বিভিন্ন ধরনের ধারণা এবং ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা অনুযায়ী বিবেচনা করা যাবে।

বিয়ে বাড়তি খরচের মধ্যে বিভিন্ন উৎস রয়েছে, যা নিম্নলিখিত হতে পারে:

  1. বিবাহের উপলক্ষে প্রতিষ্ঠানিক বায়োরা এবং পরিবেশনা: বিবাহের সময় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানিক কাজের জন্য খরচ হয়, যেমন- বিয়ের সাজঘরের অংশ তৈরি, উপলক্ষের পরিবেশনা, বাউল বা দলের বাড়ি ইত্যাদি।
  2. বিয়ের জন্য পোশাক এবং আকর্ষণীয় আসবাবপত্র: বিয়ের দিনে বর ও কনে পোশাক কিনা হয়, তাদের আকর্ষণীয় দেখানোর জন্য কিছু বিশেষ আসবাবপত্র কিনা হয় তা মুখে দেওয়া থাকে।
  3. বিয়ের অনুষ্ঠানিক খাবার এবং বিনোদন: বিয়ের অনুষ্ঠানে পরিবার ও অতিথিদের জন্য খাবার এবং বিনোদনের জন্য বেশি পরিমাণে খরচ হয়।
  4. বিয়ের দিনের অনুষ্ঠানিক অংশ সম্পর্কে: বিয়ের দিনে অনেক সময় ধরে কিছু অনুষ্ঠানিক অংশ যোগ দেওয়া হয়, যেমন- সংগীত, নৃত্য, গেমিং ইত্যাদি।
  5. পূর্বানুভূত ধারণা ও প্রেসার: কিছু সময়ে সমাজের চাপে এবং সামাজিক প্রত্যাশা দেওয়া থাকে, যার ফলে অতিরিক্ত খরচ হয় যাতে বিয়ে একটি আদর্শময় অনুষ্ঠান হয়।

বিয়ের বাড়তি খরচের সম্পর্কে সংক্ষেপে বলা যায় যে, এটি ব্যক্তিগত ও সামাজিক সংস্কৃতির অনুসারে পরিবর্তন করে। এটি ব্যক্তিগত অর্থনৈতিক অবস্থা, সামাজিক দাবি, ধারণা এবং সংস্কৃতির প্রতি নির্ভর করে। কিছু মানে বিয়ের দিন বা উপলক্ষ এবং সেসব ব্যয় আমাদের জীবনে একটি অনুপ্রেরণা এবং স্মরণীয় করে তুলে ধরে। অন্যদিকে, অতিরিক্ত বাড়তি খরচ একটি আর্থিক চাপ তৈরি করতে পারে এবং এটি কোনো মানুষের জীবনে অতিরিক্ত অস্বস্তি বা প্রেসার তৈরি করতে পারে।

বিয়ের খরচের বিষয়ে সামাজিক ও ব্যক্তিগত সচেতনতা ও বুদ্ধিমত্তার সাথে অনুবাদিত থাকা উচিত। এটি মানুষের পূর্ণাঙ্গ জীবনের একটি মহৎ অংশ, তাই তা উপভোগ করার পাশাপাশি জিম্মা ও দায়িত্বশীলভাবে ব্যয় করা উচিত।

বিবাহ হল দুজন মানুষের মধ্যে একটি সামাজিক চুক্তি যা তাদের মধ্যে একটি দীর্ঘমেয়াদী বন্ধন তৈরি করে। এটি একটি আনন্দদায়ক এবং ফলপ্রসূ অভিজ্ঞতা হতে পারে, তবে এটি একটি ব্যয়বহুলও হতে পারে। বাংলাদেশে বিবাহের খরচ দিন দিন বেড়েই চলেছে। এই খরচের মধ্যে রয়েছে বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন, পোশাক, গয়না, খাবার, যাতায়াত, আতিথেয়তা ইত্যাদি।

বিয়ের খরচের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য অংশ হল বাড়তি খরচ। এই খরচগুলি হল এমন খরচগুলি যা বিয়ের অনুষ্ঠানের সাথে সরাসরি সম্পর্কিত নয়, তবে তবুও বিয়ের সময় করা হয়। এই খরচগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • বিয়ের প্রস্তুতি
  • বিয়ের পরবর্তী অনুষ্ঠান
  • অপ্রত্যাশিত খরচ

বিয়ের প্রস্তুতি

বিয়ের প্রস্তুতি হল বিয়ের আগের সময়কালে করা সমস্ত কার্যকলাপ। এই কার্যকলাপগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • পরিবারের সাথে আলোচনা
  • বর-কনের নির্বাচন
  • বিয়ের তারিখ ও সময় নির্ধারণ
  • বিয়ের আয়োজনের জন্য পরিকল্পনা
  • বিয়ের জন্য আর্থিক ব্যবস্থা

এই কার্যকলাপগুলির জন্য খরচ হয়, যেমন:

  • পরিবারের সাথে আলোচনার খরচ
  • বর-কনের নির্বাচনের খরচ
  • বিয়ের তারিখ ও সময় নির্ধারণের খরচ
  • বিয়ের আয়োজনের জন্য পরিকল্পনার খরচ
  • বিয়ের জন্য আর্থিক ব্যবস্থার খরচ

বিয়ের পরবর্তী অনুষ্ঠান

বিয়ের অনুষ্ঠানের পরও কিছু অনুষ্ঠান করা হয়, যেমন:

  • বিয়ের পরবর্তীদিনের অনুষ্ঠান
  • বিয়ের ষষ্ঠী অনুষ্ঠান
  • বিয়ের এক বছর পরের অনুষ্ঠান

এই অনুষ্ঠানগুলির জন্য খরচ হয়, যেমন:

  • বিয়ের পরবর্তীদিনের অনুষ্ঠানের খরচ
  • বিয়ের ষষ্ঠী অনুষ্ঠানের খরচ
  • বিয়ের এক বছর পরের অনুষ্ঠানের খরচ

অপ্রত্যাশিত খরচ

বিয়ের সময় যেকোনো সময় অপ্রত্যাশিত খরচ হতে পারে। এই খরচগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • অসুস্থতা
  • দুর্ঘটনা
  • অন্যান্য জরুরি পরিস্থিতি

এই খরচগুলির জন্যও প্রস্তুত থাকা উচিত।

বিয়ের বাড়তি খরচ কমানো

বিয়ের বাড়তি খরচ কমানো সম্ভব। এর জন্য কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে, যেমন:

  • বিয়ের বাজেট নির্ধারণ করে শুরু করা উচিত। এই বাজেট নির্ধারণের সময় বিয়ের প্রস্তুতি, বিয়ের অনুষ্ঠান এবং বিয়ের পরবর্তী অনুষ্ঠানের জন্য খরচের হিসাব করা উচিত।
  • বাজেটের মধ্যে থাকার জন্য চেষ্টা করা উচিত। বাজেট ছাড়িয়ে খরচ করা উচিত নয়।
  • প্রয়োজনে খরচ কমানো উচিত। যদি মনে হয় যে কোনও অনুষ্ঠান বা আচার-অনুষ্ঠান অপরিহার্য নয়, তাহলে তা বাদ দেওয়া যেতে পারে।
  • অপ্রত্যাশিত খরচের জন্য প্রস্তুত থাকা উচিত। অপ্রত্যাশিত খরচের জন্য কিছু টাকা সঞ্চয় করা উচিত।

বিয়ের বাড়তি খরচ কমিয়ে বিয়েকে আরও সাশ্রয়ী করা সম্ভব।

 online bibaha media