বিয়ের
আগে শ্বশুর বাড়ির সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখার উপায়
বিয়ের
আগে শ্বশুর বাড়ির সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলার উপায়:
ভূমিকা:
বিয়ে
একটি নতুন জীবনের সূচনা। এই নতুন জীবনে
শ্বশুর বাড়ির সাথে সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিয়ের আগে থেকেই শ্বশুর বাড়ির সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারলে বিয়ের পরের জীবন আরও সুন্দর ও সুখী হবে।
কিছু
টিপস:
আগ্রহী
হোন: তাদের পরিবার, রীতিনীতি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সম্পর্কে
জানতে আগ্রহী হোন। তাদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন এবং তাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন।
আগ্রহী
হোন:
শ্বশুর
বাড়ির সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল তাদের প্রতি
আগ্রহী হওয়া। তাদের পরিবার, রীতিনীতি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সম্পর্কে
জানতে আগ্রহী হোন।
কিভাবে
আগ্রহী হবেন:
- তাদের সাথে কথা বলুন: তাদের জীবন, অভিজ্ঞতা, এবং পছন্দ সম্পর্কে জানতে তাদের সাথে আলোচনা করুন।
- শুনুন: তাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন এবং তাদের মতামত গুরুত্ব দিন।
- প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন: তাদের পরিবার, ঐতিহ্য, এবং রীতিনীতি সম্পর্কে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন।
- তাদের সাথে সময় কাটান: তাদের সাথে বসে গল্প করুন, খেলাধুলা করুন, বা একসাথে কোন কাজ করুন।
- তাদের সাথে ভ্রমণ করুন: তাদের সাথে ছুটি কাটাতে যান বা তাদের গ্রামে বেড়াতে যান।
- তাদের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানুন: তাদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, এবং উৎসব সম্পর্কে জানার চেষ্টা করুন।
- তাদের ভাষা শিখুন: যদি সম্ভব হয়, তাদের ভাষা শিখুন। এতে তাদের সাথে আপনার যোগাযোগ আরও সহজ হবে।
আগ্রহী
হওয়ার সুবিধা:
- তাদের সাথে আপনার সম্পর্ক আরও ভালো হবে: তাদের প্রতি আপনার আগ্রহ তাদের মন জয় করবে এবং তাদের সাথে আপনার সম্পর্ক আরও ভালো হবে।
- তারা আপনাকে আরও ভালোভাবে বুঝতে পারবে: আপনি তাদের প্রতি আগ্রহী হলে তারাও আপনাকে আরও ভালোভাবে বুঝতে পারবে।
- আপনাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠবে: তাদের প্রতি আগ্রহী হওয়ার মাধ্যমে আপনাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠবে।
- বিয়ের পরের জীবন আরও সুখী হবে: শ্বশুর বাড়ির সাথে ভালো সম্পর্ক থাকলে বিয়ের পরের জীবন আরও সুখী হবে।
মনে
রাখবেন:
- আপনার আগ্রহী হওয়া জাল হতে পারে না: তাদের প্রতি সত্যিকার অর্থে আগ্রহী হতে হবে।
- তাদের রুচি ও পছন্দকে সম্মান করুন: তাদের রুচি ও পছন্দকে সম্মান করুন এবং তাদের উপর আপনার পছন্দ চাপিয়ে দেবেন না।
- ধৈর্য ধরুন: সম্পর্ক গড়ে তুলতে সময় লাগে। তাই ধৈর্য ধরুন এবং निरंतर চেষ্টা চালিয়ে যান।
শ্বশুর
বাড়ির সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য আগ্রহী হওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি আপনার বিয়ের পরের জীবনকে আরও সুখী ও সুন্দর করে
তুলতে সাহায্য করবে।
যোগাযোগ
করুন: নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন। ফোন করুন, দেখা করুন, বা সোশ্যাল মিডিয়ায়
যুক্ত থাকুন। শ্বশুর বাড়ির সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য নিয়মিত
যোগাযোগ গুরুত্বপূর্ণ।
কিভাবে
যোগাযোগ করবেন:
- ফোন করুন: নিয়মিত তাদের ফোন করুন এবং খোঁজখবর
নিন।
- দেখা করুন: তাদের সাথে দেখা করার চেষ্টা
করুন।
- সোশ্যাল মিডিয়ায় যুক্ত থাকুন: ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, বা অন্য
কোন সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের সাথে যুক্ত থাকুন।
- ইমেইল পাঠান: তাদের ইমেইল পাঠিয়ে খোঁজখবর
নিন।
- পত্র পাঠান: তাদের চিঠি লিখে পাঠাতে পারেন।
- উপহার পাঠান: বিশেষ দিনগুলোতে তাদের উপহার
পাঠাতে পারেন।
যোগাযোগের
সুবিধা:
- আপনাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক
গড়ে উঠবে: নিয়মিত
যোগাযোগের মাধ্যমে আপনাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠবে।
- তারা আপনাকে আরও ভালোভাবে চিনতে
পারবে: নিয়মিত
যোগাযোগের মাধ্যমে তারা আপনাকে আরও ভালোভাবে চিনতে পারবে।
- আপনাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হওয়ার
সম্ভাবনা কমবে:
নিয়মিত যোগাযোগের মাধ্যমে আপনাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হওয়ার সম্ভাবনা কমবে।
- আপনার বিয়ের পরের জীবন আরও সহজ
হবে: শ্বশুর
বাড়ির সাথে ভালো যোগাযোগ থাকলে বিয়ের পরের জীবন আরও সহজ হবে।
মনে
রাখবেন:
- নিজের খবর জানান: তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করার
সময় নিজের খবরও জানান।
- তাদের খবর জিজ্ঞাসা করুন: শুধু নিজের কথা না বলে তাদের
খবরও জিজ্ঞাসা করুন।
- তাদের সাথে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
নিয়ে আলোচনা করুন:
বিয়ে, সংসার, বা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে তাদের সাথে
আলোচনা করুন।
- তাদের মতামত গুরুত্ব দিন: তাদের মতামতকে গুরুত্ব দিন এবং
তাদের সাথে পরামর্শ করুন।
নিয়মিত
যোগাযোগ শ্বশুর বাড়ির সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলার একটি কার্যকর উপায়। এটি আপনার বিয়ের পরের জীবনকে আরও
সুখী ও সুন্দর করে তুলতে সাহায্য করবে।
সাহায্য
করুন: যখনই সম্ভব তাদের সাহায্য করুন। ছোট ছোট কাজে সাহায্য করে তাদের মন জয় করতে
পারবেন।
আপনার সঙ্গীর পরিবারকে
জানুন:
- আগ্রহী হোন: তাদের পরিবার, ঐতিহ্য, এবং সংস্কৃতি
সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হোন।
- তাদের সাথে কথা বলুন: তাদের জীবন, অভিজ্ঞতা, এবং পছন্দ
সম্পর্কে জানতে তাদের সাথে আলোচনা করুন।
- শুনুন: তাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন
এবং তাদের মতামত গুরুত্ব দিন।
- প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন: তাদের পরিবার, ঐতিহ্য, এবং রীতিনীতি
সম্পর্কে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন।
যোগাযোগ
করুন:
- নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন: তাদের ফোন করুন, দেখা করুন, সোশ্যাল
মিডিয়ায় যুক্ত থাকুন, ইমেইল পাঠান, চিঠি পাঠান, উপহার পাঠান।
- নিজের খবর জানান: তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করার
সময় নিজের খবরও জানান।
- তাদের খবর জিজ্ঞাসা করুন: শুধু নিজের কথা না বলে তাদের
খবরও জিজ্ঞাসা করুন।
- গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা
করুন: বিয়ে,
সংসার, বা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে তাদের সাথে আলোচনা
করুন।
- তাদের মতামত গুরুত্ব দিন: তাদের মতামতকে গুরুত্ব দিন এবং
তাদের সাথে পরামর্শ করুন।
সহায়ক
হোন:
- তাদের প্রয়োজনে সাহায্য করুন: যখন তাদের সাহায্যের প্রয়োজন
হবে তখন তাদের পাশে থাকুন।
- घरের কাজে সাহায্য করুন: যখন সম্ভব তখন ঘরের কাজে সাহায্য
করুন।
- তাদের সন্তানদের সাথে সময় কাটান: তাদের সন্তানদের সাথে খেলাধুলা
করুন, গল্প বলুন, এবং তাদের দেখাশোনা করুন।
- উপহার দিন: বিশেষ দিনগুলোতে তাদের উপহার
দিন।
মান্য
করুন:
- তাদের রীতিনীতি ও ঐতিহ্যকে সম্মান
করুন: তাদের
রীতিনীতি ও ঐতিহ্যকে সম্মান করুন এবং সেগুলো মেনে চলার চেষ্টা করুন।
- তাদের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করুন: তাদের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করুন,
এমনকি যদি আপনি সেগুলোর সাথে একমত না হন।
- ধৈর্য ধরুন: সম্পর্ক গড়ে তুলতে সময় লাগে।
তাই ধৈর্য ধরুন এবং निरंतर চেষ্টা চালিয়ে যান।
মনে
রাখবেন:
- আপনার আন্তরিক হোন: শ্বশুর বাড়ির সাথে ভালো সম্পর্ক
গড়ে তোলার জন্য আপনার আন্তরিক হতে হবে।
- নিজের পরিবারকেও গুরুত্ব দিন: শ্বশুর বাড়ির সাথে ভালো সম্পর্ক
গড়ে তোলার চেষ্টা করলেও নিজের পরিবারকেও ভুলবেন না।
উপহার
দিন: বিশেষ দিনগুলোতে তাদের উপহার দিন। এতে তাদের ভালো লাগবে এবং আপনার প্রতি তাদের ভালোবাসা বাড়বে।
বিয়ের আগে শ্বশুর বাড়ির
সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য উপহার একটি ভালো উপায় হতে পারে। তবে, উপহার নির্বাচনের
সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ:
উপযুক্ত
উপহার নির্বাচন:
- তাদের পছন্দ ও অপছন্দ জানুন: তাদের পছন্দ ও অপছন্দ সম্পর্কে
জেনে নিন। তাদের পছন্দের জিনিসপত্র, রঙ, বা ডিজাইন সম্পর্কে জানুন।
- তাদের প্রয়োজন বিবেচনা করুন: তাদের কোন জিনিসের প্রয়োজন আছে
তা ভেবে দেখুন।
- ব্যক্তিগতকৃত উপহার দিন: তাদের নাম, বিয়ের তারিখ, বা
অন্য কোন বিশেষ বার্তা দিয়ে ব্যক্তিগতকৃত উপহার দিতে পারেন।
- হস্তনির্মিত উপহার দিতে পারেন: হস্তনির্মিত উপহার তাদের কাছে
আরও বেশি মূল্যবান মনে হতে পারে।
- খাবার উপহার দিতে পারেন: তাদের পছন্দের খাবার তৈরি করে
বা বাজার থেকে কিনে উপহার দিতে পারেন।
- গাছপালা উপহার দিতে পারেন: গাছপালা একটি সুন্দর এবং দীর্ঘস্থায়ী
উপহার হতে পারে।
- অভিজ্ঞতা উপহার দিতে পারেন: তাদের জন্য কোন স্পা, রেস্তোরাঁ,
বা অন্য কোন আকর্ষণীয় স্থানে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে পারেন।
কিছু
নির্দিষ্ট উপহারের ধারণা:
- মা:
- শাড়ি, থ্রি-পিস, গয়না, সুগন্ধি,
মেকআপ কিট, হাতব্যাগ, ঘড়ি,
- রান্নার জিনিসপত্র, বাড়ির সাজসজ্জার
জিনিসপত্র
- বাবা:
- শার্ট, প্যান্ট, জুতা, ঘড়ি,
- ক্যামেরা, মোবাইল ফোন, বই,
- মাছ ধরার সরঞ্জাম, বাগান করার
সরঞ্জাম
- ভাই/বোন:
- পোশাক, জুতা, বই, খেলনা,
- ইলেকট্রনিক জিনিসপত্র, গেমস
- পুরো পরিবার:
- ফলের ঝুড়ি, মিষ্টি, শুকনো খাবার,
- টেবিল ক্লথ, বেডশিট,
- গৃহস্থালীর জিনিসপত্র
উপহার
দেওয়ার সময়:
- সুন্দরভাবে মোড়ানো উপহার দিন: উপহার সুন্দরভাবে মোড়ানো থাকলে
তা দেখতে আরও আকর্ষণীয় লাগবে।
- উপহার দেওয়ার সময় শুভেচ্ছা জানান: উপহার দেওয়ার সময় তাদের সাথে
আন্তরিকভাবে কথা বলুন এবং শুভেচ্ছা জানান।
- তাদের প্রতিক্রিয়া গ্রহণ করুন: তাদের উপহারটি পছন্দ হয়েছে কিনা
তা জিজ্ঞাসা করুন এবং তাদের প্রতিক্রিয়া গ্রহণ করুন।
সময়
কাটান: তাদের সাথে সময় কাটান। একসাথে খাওয়া, গল্প করা, বা ছুটি কাটানোর
মাধ্যমে তাদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলুন।
শ্বশুর বাড়ির সাথে ভালো
সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য তাদের সাথে সময় কাটানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
কিভাবে
সময় কাটাবেন:
- তাদের সাথে নিয়মিত দেখা করুন: তাদের সাথে নিয়মিত দেখা করার
চেষ্টা করুন। তাদের বাড়িতে যান, তাদের সাথে খাবার খান, বা তাদের সাথে বাইরে বেরিয়ে
যান।
- তাদের সাথে বিভিন্ন কাজে অংশ নিন: তাদের সাথে পারিবারিক অনুষ্ঠান,
ছুটি, বা অন্যান্য কাজে অংশ নিন।
- তাদের সাথে আড্ডা দিন: তাদের সাথে বসে গল্প করুন, খেলাধুলা
করুন, বা টিভি দেখুন।
- তাদের সাহায্য করুন: যখন তাদের সাহায্যের প্রয়োজন
হবে তখন তাদের পাশে থাকুন।
- তাদের সঙ্গীর সাথে সময় কাটান: আপনার সঙ্গীর সাথে তাদের বাড়িতে
সময় কাটান।
- তাদের সাথে ভ্রমণ করুন: তাদের সাথে ছুটি কাটাতে যান বা
তাদের গ্রামে বেড়াতে যান।
সময়
কাটানোর সুবিধা:
- আপনাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক
গড়ে উঠবে: তাদের
সাথে সময় কাটানোর মাধ্যমে আপনাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠবে।
- তারা আপনাকে আরও ভালোভাবে চিনতে
পারবে: তাদের
সাথে সময় কাটানোর মাধ্যমে তারা আপনাকে আরও ভালোভাবে চিনতে পারবে।
- আপনাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হওয়ার
সম্ভাবনা কমবে:
তাদের সাথে সময় কাটানোর মাধ্যমে আপনাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হওয়ার সম্ভাবনা
কমবে।
- আপনার বিয়ের পরের জীবন আরও সহজ
হবে: শ্বশুর
বাড়ির সাথে ভালো সম্পর্ক থাকলে বিয়ের পরের জীবন আরও সহজ হবে।
মনে
রাখবেন:
- সময় কাটানোর সময় তাদের সাথে
খোলামেলাভাবে কথা বলুন:
তাদের সাথে খোলামেলাভাবে কথা বলুন এবং আপনার মনের কথা তাদের সাথে শেয়ার করুন।
- তাদের রুচি ও পছন্দকে সম্মান করুন: তাদের রুচি ও পছন্দকে সম্মান
করুন এবং তাদের উপর আপনার পছন্দ চাপিয়ে দেবেন না।
- তাদের সাথে ধৈর্য ধরুন: সম্পর্ক গড়ে তুলতে সময় লাগে।
তাই ধৈর্য ধরুন এবং निरंतर চেষ্টা চালিয়ে যান।
শ্বশুর
বাড়ির সাথে সময় কাটানো শ্বশুর বাড়ির সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলার একটি কার্যকর
উপায়। এটি আপনার
বিয়ের পরের জীবনকে আরও সুখী ও সুন্দর করে তুলতে সাহায্য করবে।
সম্মান
করুন: তাদের সিদ্ধান্ত ও পছন্দকে সম্মান
করুন। তাদের সাথে মতপার্থক্য হলেও বিতর্ক এড়িয়ে চলুন।
শ্বশুর বাড়ির সাথে ভালো
সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য তাদের সম্মান করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
কিভাবে
সম্মান করবেন:
- তাদের মতামতকে গুরুত্ব দিন: তাদের মতামতকে গুরুত্ব দিন এবং
তাদের সাথে সম্মানের সাথে আলোচনা করুন।
- তাদের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করুন: তাদের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করুন,
এমনকি যদি আপনি সেগুলোর সাথে একমত না হন।
- তাদের রীতিনীতি ও ঐতিহ্যকে সম্মান
করুন: তাদের
রীতিনীতি ও ঐতিহ্যকে সম্মান করুন এবং সেগুলো মেনে চলার চেষ্টা করুন।
- তাদের সাথে বিনয়ী ও নম্রভাবে
কথা বলুন: তাদের
সাথে সবসময় বিনয়ী ও নম্রভাবে কথা বলুন।
- তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন: তাদের আপনার সঙ্গীর জন্য যা করেছেন
তার জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন।
- তাদের সাথে ধৈর্য ধরুন: তাদের সাথে ধৈর্য ধরুন এবং তাদের
ভুলগুলো ক্ষমা করুন।
সম্মান
করার সুবিধা:
- আপনাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক
গড়ে উঠবে: তাদের
সম্মান করার মাধ্যমে আপনাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠবে।
- তারা আপনাকে আরও বেশি মূল্য দেবে: তাদের সম্মান করার মাধ্যমে তারা
আপনাকে আরও বেশি মূল্য দেবে।
- আপনাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হওয়ার
সম্ভাবনা কমবে:
তাদের সম্মান করার মাধ্যমে আপনাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হওয়ার সম্ভাবনা কমবে।
- আপনার বিয়ের পরের জীবন আরও সুখী
হবে: শ্বশুর
বাড়ির সাথে ভালো সম্পর্ক থাকলে বিয়ের পরের জীবন আরও সুখী হবে।
মনে
রাখবেন:
- তাদের প্রতি সর্বদা সৎ ও সত্যবাদী
হোন: তাদের প্রতি
সর্বদা সৎ ও সত্যবাদী হোন।
- তাদের প্রতি কোন অযৌক্তিক প্রত্যাশা
রাখবেন না: তাদের
প্রতি কোন অযৌক্তিক প্রত্যাশা রাখবেন না।
- তাদের সাথে আপনার সীমা নির্ধারণ
করুন: তাদের
সাথে আপনার সীমা নির্ধারণ করুন এবং সেগুলো মেনে চলার চেষ্টা করুন।
শ্বশুর
বাড়ির সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য তাদের সম্মান করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনার বিয়ের পরের জীবনকে আরও
সুখী ও সুন্দর করে তুলতে সাহায্য করবে।
সহনশীল
হোন: প্রত্যেক মানুষেরই ভালো ও খারাপ দিক
থাকে। তাদের ভুলগুলো ক্ষমা করে তাদের প্রতি সহনশীল হোন।
শ্বশুর বাড়ির সাথে ভালো
সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য সহনশীল হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
কিভাবে
সহনশীল হবেন:
- তাদের পার্থক্যগুলোকে গ্রহণ করুন: তাদের পার্থক্যগুলোকে গ্রহণ করুন
এবং তাদের মতো হওয়ার চেষ্টা করবেন না।
- তাদের ভুলগুলো ক্ষমা করুন: তাদের ভুলগুলো ক্ষমা করুন এবং
তাদের উপর রাগ ধরে রাখবেন না।
- তাদের সাথে ধৈর্য ধরুন: তাদের সাথে ধৈর্য ধরুন এবং তাদের
পরিবর্তনের জন্য সময় দিন।
- তাদের সাথে ইতিবাচকভাবে আলোচনা
করুন: তাদের
সাথে ইতিবাচকভাবে আলোচনা করুন এবং তাদের সাথে বিতর্ক এড়িয়ে চলুন।
- তাদের সাথে আপনার মনের কথা শেয়ার
করুন: তাদের
সাথে আপনার মনের কথা শেয়ার করুন এবং তাদের কাছ থেকে পরামর্শ নিন।
সহনশীল
হওয়ার সুবিধা:
- আপনাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক
গড়ে উঠবে: তাদের
প্রতি সহনশীল হওয়ার মাধ্যমে আপনাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠবে।
- তারা আপনাকে আরও বেশি বুঝতে পারবে: তাদের প্রতি সহনশীল হওয়ার মাধ্যমে
তারা আপনাকে আরও বেশি বুঝতে পারবে।
- আপনাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হওয়ার
সম্ভাবনা কমবে:
তাদের প্রতি সহনশীল হওয়ার মাধ্যমে আপনাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হওয়ার সম্ভাবনা
কমবে।
- আপনার বিয়ের পরের জীবন আরও সুখী
হবে: শ্বশুর
বাড়ির সাথে ভালো সম্পর্ক থাকলে বিয়ের পরের জীবন আরও সুখী হবে।
মনে
রাখবেন:
- আপনার সঙ্গীর সাথে আপনার সম্পর্ককে
সবচেয়ে গুরুত্ব দিন:
আপনার সঙ্গীর সাথে আপনার সম্পর্ককে সবচেয়ে গুরুত্ব দিন এবং শ্বশুর বাড়ির সাথে
আপনার সম্পর্কের জন্য আপনার সঙ্গীর সাথে আপস করবেন না।
- নিজের যত্ন নিন: নিজের যত্ন নিন এবং মানসিক চাপের
মধ্যে দিয়ে না যান।
- প্রয়োজনে সাহায্য চাইতে দ্বিধা
করবেন না: প্রয়োজনে
সাহায্য চাইতে দ্বিধা করবেন না।
শ্বশুর
বাড়ির সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য সহনশীল হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনার বিয়ের পরের জীবনকে আরও
সুখী ও সুন্দর করে তুলতে সাহায্য করবে।
নিজের
পরিবারের সাথে ভারসাম্য রক্ষা করুন: শ্বশুর বাড়ির সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করতে গিয়ে নিজের পরিবারকে অবহেলা করবেন না। তাদের সাথেও নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন এবং ভালো সম্পর্ক বজায় রাখুন।
বিয়ের পর আপনার জীবনে
অনেক পরিবর্তন আসবে। নতুন পরিবার, নতুন দায়িত্ব, এবং নতুন সম্পর্কের সাথে খাপ খাওয়ানো
কঠিন হতে পারে। এই সময়ের মধ্যে, আপনার নিজের পরিবারের সাথে ভারসাম্য রক্ষা করাও গুরুত্বপূর্ণ।
কিভাবে
ভারসাম্য রক্ষা করবেন:
- যোগাযোগ: আপনার দুই পরিবারের সাথেই নিয়মিত
যোগাযোগ রাখুন। তাদের সাথে আপনার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি শেয়ার করুন এবং
তাদের মতামত জানুন।
- সময়: আপনার সময় দুই পরিবারের মধ্যে
ভাগ করে নিন। তাদের সাথে সমান সময় কাটানোর চেষ্টা করুন।
- সীমানা নির্ধারণ: স্পষ্ট সীমানা নির্ধারণ করুন
যাতে আপনার দুই পরিবারই জানে যে আপনার কখন কী করার সময় আছে।
- সম্মান: আপনার দুই পরিবারকেই সম্মান করুন
এবং তাদের মতামতকে গুরুত্ব দিন।
- উপরিপেক্ষ: দুই পরিবারের মধ্যে কোন ঝগড়া
বা মতবিরোধ হলে নিরপেক্ষ থাকার চেষ্টা করুন।
- সাহায্য চাইতে দ্বিধা করবেন না: প্রয়োজনে আপনার সঙ্গী, বন্ধু,
বা পরিবারের অন্য সদস্যদের কাছ থেকে সাহায্য চাইতে দ্বিধা করবেন না।
ভারসাম্য
রক্ষা করার গুরুত্ব:
- ভালো সম্পর্ক: আপনার দুই পরিবারের সাথেই ভালো
সম্পর্ক বজায় রাখতে সাহায্য করবে।
- মানসিক চাপ কমবে: আপনার উপর মানসিক চাপ কমবে।
- সুখী জীবন: আপনার এবং আপনার সঙ্গীর জীবনকে
আরও সুখী করে তুলবে।
স্বামীর
সাথে আলোচনা করুন: শ্বশুর বাড়ির সাথে সম্পর্ক নিয়ে আপনার মনের ভাব স্বামীর সাথে শেয়ার করুন। তার পরামর্শ নিন এবং সিদ্ধান্ত নিন।
ধৈর্য
ধরুন: সম্পর্ক গড়ে তুলতে সময় লাগে। তাই ধৈর্য ধরুন এবং निरंतर চেষ্টা চালিয়ে যান।
Matrimonial site in Bangladesh