শ্বশুর
শাশুড়ির সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখার উপায়
শ্বশুর-শাশুড়ির সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলার উপায়:
ভূমিকা:
বিবাহের
পর নতুন পরিবারের সাথে মানিয়ে নেওয়া অনেকের জন্যই চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। বিশেষ করে, শ্বশুর-শাশুড়ির সাথে সুন্দর সম্পর্ক গড়ে তোলা অনেক নারীর জন্য দীর্ঘমেয়াদী লড়াইয়ের মতো মনে হতে পারে। তবে, কিছু সহজ নীতি অনুসরণ করে এবং সচেতন প্রচেষ্টার মাধ্যমে আপনি শ্বশুর-শাশুড়ির সাথে মধুর সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারেন।
কৌশল:
১.
সম্মান ও বোঝাপড়া:
শ্বশুর-শাশুড়ির সাথে সম্মান ও বোঝাপড়া:
ভূমিকা:
বিবাহের
পর নতুন পরিবারের সাথে মানিয়ে নেওয়া অনেকের জন্যই চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। বিশেষ করে, শ্বশুর-শাশুড়ির সাথে সুন্দর সম্পর্ক গড়ে তোলা অনেক নারীর জন্য দীর্ঘমেয়াদী লড়াইয়ের মতো মনে হতে পারে। তবে, সম্মান ও বোঝাপড়া এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ
নীতি অনুসরণ করে আপনি তাদের সাথে মধুর সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারেন।
কিভাবে
সম্মান ও বোঝাপড়া প্রদর্শন করবেন:
- তাদের অভিজ্ঞতা ও জ্ঞানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন। মনে রাখবেন, তারা আপনার থেকে অনেক বেশি জীবনযাপন করেছেন এবং তাদের অনেক কিছু শেখার আছে। তাদের পরামর্শ গ্রহণ করুন এবং তাদের মতামতকে মূল্য দিন।
- তাদের দৃষ্টিভঙ্গি বোঝার চেষ্টা করুন। জিনিসগুলোকে তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার চেষ্টা করুন এবং তাদের অনুভূতি বুঝতে চেষ্টা করুন। মনে রাখবেন, তাদের ভিন্ন অভিজ্ঞতা ও পটভূমি থাকতে পারে।
- তাদের পছন্দ-অপছন্দ, রীতিনীতি ও মূল্যবোধ সম্পর্কে জানুন এবং সেগুলোকে মেনে চলার চেষ্টা করুন। তাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে সম্মান করুন এবং নতুন জিনিস শিখতে ইচ্ছুক হোন।
- তাদের সাথে খোলামেলা যোগাযোগ বজায় রাখুন। আপনার চিন্তাভাবনা, অনুভূতি এবং চাহিদাগুলো তাদের সাথে শেয়ার করুন। তাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন এবং তাদের সাথে সৎ থাকুন।
- তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন এবং তাদের সাহায্য ও সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানান। তাদের জন্য যা কিছু করেন তার জন্য তাদের প্রশংসা করুন এবং তাদের ভালোবাসা ও স্নেহের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন।
সম্মান
ও বোঝাপড়া এর মাধ্যমে আপনি
শ্বশুর-শাশুড়ির সাথে শক্তিশালী ও স্থায়ী সম্পর্ক
গড়ে তুলতে পারেন। মনে রাখবেন, সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য সময় লাগে এবং ধৈর্য্য ধরা গুরুত্বপূর্ণ। ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে, তবে ঠান্ডা মাথায় সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করুন এবং ইতিবাচক দিকগুলোতে মনোযোগ দিন।
এখানে
কিছু অতিরিক্ত টিপস রয়েছে যা আপনাকে শ্বশুর-শাশুড়ির সাথে সম্মান ও বোঝাপড়া বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে:
- তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করুন, তাদের সাথে সময় কাটান, এবং তাদের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করুন।
- তাদের ঘরের কাজে, বাচ্চাদের যত্নে, এবং পারিবারিক অনুষ্ঠানে সাহায্য করুন।
- শ্বশুর-শাশুড়িকে সম্মান করুন এবং তাদের অভিজ্ঞতা ও জ্ঞানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন।
- তাদের দৃষ্টিভঙ্গি বোঝার চেষ্টা করুন এবং তাদের সাথে খোলামেলা যোগাযোগ বজায় রাখুন।
- তাদের পছন্দ-অপছন্দ, রীতিনীতি ও মূল্যবোধ সম্পর্কে জানুন এবং সেগুলোকে মেনে চলার চেষ্টা করুন।
২.
যোগাযোগ:
শ্বশুর-শাশুড়ির সাথে যোগাযোগ:
ভূমিকা:
শ্বশুর-শাশুড়ির সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য যোগাযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত যোগাযোগ, খোলামেলা আলোচনা এবং সহানুভূতিশীল মনোভাবের মাধ্যমে আপনি তাদের সাথে শক্তিশালী বন্ধন তৈরি করতে পারেন।
কিভাবে
শ্বশুর-শাশুড়ির সাথে যোগাযোগ করবেন:
- নিয়মিত যোগাযোগ করুন: তাদের সাথে ফোনে কথা বলুন, দেখা করুন, বা তাদের সাথে সময় কাটান। তাদের জীবন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করুন এবং তাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন।
- খোলামেলা যোগাযোগ বজায় রাখুন: আপনার চিন্তাভাবনা, অনুভূতি এবং চাহিদাগুলো তাদের সাথে শেয়ার করুন। তাদের সাথে সৎ থাকুন এবং তাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে ইচ্ছুক হোন।
- তাদের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করুন: শুধু পারিবারিক বিষয় নয়, বরং বর্তমান ঘটনা, সাহিত্য, সঙ্গীত, বা অন্যান্য বিষয়েও তাদের সাথে কথা বলুন।
- তাদের সাথে সময় কাটান: তাদের সাথে খাবার খান, সিনেমা দেখুন, বা তাদের বাড়িতে সময় কাটান।
- তাদের সাথে ভ্রমণ করুন: তাদের সাথে ছুটিতে যান বা তাদের সাথে নতুন জায়গায় ঘুরতে যান।
- তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন: তাদের জন্য যা কিছু করেন তার জন্য তাদের প্রশংসা করুন এবং তাদের ভালোবাসা ও স্নেহের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন।
- তাদের সাথে মতবিরোধ সমাধান করুন: যদি মতবিরোধ হয়, তাহলে ঠান্ডা মাথায় এবং শ্রদ্ধার সাথে তা সমাধানের চেষ্টা করুন। রাগ-অভিমান এড়িয়ে চলুন এবং একে অপরের দৃষ্টিভঙ্গি বোঝার চেষ্টা করুন।
- সহানুভূতিশীল হোন: তাদের অনুভূতি বুঝতে চেষ্টা করুন এবং তাদের প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকুন।
- তাদের প্রতি ধৈর্য্য ধরুন: মনে রাখবেন, তারা আপনার থেকে ভিন্ন ব্যক্তি এবং তাদের ভিন্ন চিন্তাভাবনা ও মতামত থাকতে পারে। তাদের সাথে মানিয়ে নিতে সময় লাগতে পারে।
যোগাযোগের
মাধ্যমে আপনি শ্বশুর-শাশুড়ির সাথে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারেন। মনে রাখবেন, খোলামেলা কথা বলা, শ্রদ্ধাশীল আচরণ এবং সহানুভূতি এই গুণাবলী আপনাকে
তাদের সাথে দীর্ঘস্থায়ী বন্ধন তৈরি করতে সাহায্য করবে।
- নিয়মিত যোগাযোগ করুন, তাদের সাথে খোলামেলা কথা বলুন এবং তাদের জীবনে আগ্রহী হোন।
- তাদের সাথে সময় কাটান, ফোন করুন, দেখা করুন, এবং তাদের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করুন।
- তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন এবং তাদের সাহায্য ও সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানান।
৩.
সহযোগিতা:
শ্বশুর-শাশুড়ির সাথে সহযোগিতা:
ভূমিকা:
শ্বশুর-শাশুড়ির সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য সহযোগিতা একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। পারিবারিক কাজে, বাচ্চাদের যত্নে এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাদের সাথে সহযোগিতা করার মাধ্যমে আপনি তাদের সাথে ঘনিষ্ঠ বন্ধন তৈরি করতে পারেন।
কিভাবে
শ্বশুর-শাশুড়ির সাথে সহযোগিতা করবেন:
- ঘরের কাজে সাহায্য করুন: রান্না, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, বা কেনাকাটার মতো কাজে তাদের সাহায্য করুন।
- বাচ্চাদের যত্নে সাহায্য করুন: বাচ্চাদের খাওয়ানো, তাদের পোশাক পরানো, বা তাদের সাথে খেলাধুলার মতো কাজে তাদের সাহায্য করুন।
- পারিবারিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করুন: বিবাহ, জন্মদিন, বা ছুটির মতো অনুষ্ঠানে তাদের সাথে অংশগ্রহণ করুন।
- তাদের পরামর্শ গ্রহণ করুন: ঘর সংস্কার, রান্না, বা বাচ্চাদের লালন-পালনের মতো বিষয়ে তাদের পরামর্শ গ্রহণ করুন।
- তাদের সাথে নতুন জিনিস শিখুন: তাদের সাথে রান্না করা, বাগান করা, বা ঐতিহ্যবাহী শিল্প শেখা।
- তাদের প্রয়োজনে সাহায্য করুন: যদি তারা অসুস্থ হন বা সাহায্যের প্রয়োজন হয় তবে তাদের পাশে থাকুন।
- তাদের সাথে ভ্রমণ করুন: তাদের সাথে ছুটিতে যান বা তাদের সাথে নতুন জায়গায় ঘুরতে যান।
- তাদের উপহার দিন: তাদের জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকী, বা অন্যান্য বিশেষ উপলক্ষে তাদের উপহার দিন।
সহযোগিতার
মাধ্যমে আপনি শ্বশুর-শাশুড়ির সাথে আরও শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারেন। এটি আপনাকে তাদের কাছাকাছি আনবে এবং তাদের প্রতি আপনার ভালোবাসা ও সম্মান প্রকাশ
করবে।
এখানে
কিছু অতিরিক্ত টিপস রয়েছে যা আপনাকে শ্বশুর-শাশুড়ির সাথে সহযোগিতা করতে সাহায্য করতে পারে:
- তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করুন এবং তাদের জীবন সম্পর্কে জানুন।
- তাদের পছন্দ-অপছন্দ এবং চাহিদাগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকুন।
- তাদের সাথে ধৈর্য ধরুন এবং তাদের ভুলগুলো ক্ষমা করুন।
- তাদের সাথে ইতিবাচক মনোভাব বজায় রাখুন।
মনে
রাখবেন, সহযোগিতা একটি দু-পথের রাস্তা। আপনার যেমন তাদের সাহায্যের প্রয়োজন হবে, তেমনি তাদেরও আপনার সাহায্যের প্রয়োজন হতে পারে। একে অপরের প্রতি সহানুভূতিশীল হোন এবং একে অপরের প্রয়োজনে সাহায্য করতে ইচ্ছুক হোন।
- ঘরের কাজে, বাচ্চাদের যত্নে, এবং পারিবারিক অনুষ্ঠানে তাদের সাহায্য করুন।
- তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হোন এবং তাদের প্রয়োজনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন।
- তাদের সাথে ভাগ করে নিন এবং তাদের সাথে আপনার আনন্দ ও দুঃখ ভাগ করে নিন।
৪.
সীমা নির্ধারণ:
শ্বশুর-শাশুড়ির সাথে সীমা নির্ধারণ:
ভূমিকা:
শ্বশুর-শাশুড়ির সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য সীমা নির্ধারণ গুরুত্বপূর্ণ। আপনার এবং আপনার স্বামীর জন্য স্বাস্থ্যকর সীমা নির্ধারণ করে এবং সেগুলো শ্বশুর-শাশুড়িকে জানিয়ে দিয়ে আপনি পারস্পরিক সম্মান ও বোঝাপড়ার ভিত্তি
তৈরি করতে পারেন।
কিভাবে
শ্বশুর-শাশুড়ির সাথে সীমা নির্ধারণ করবেন:
- আপনার এবং আপনার স্বামীর জন্য সীমা নির্ধারণ করুন: আপনারা কিভাবে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে চান, কতটা সময় কাটাতে চান, এবং তাদের কতটা আপনার ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ করতে দেবেন সে বিষয়ে আলোচনা করুন।
- তাদের সাথে খোলামেলা যোগাযোগ করুন: আপনার নির্ধারিত সীমাগুলো তাদের জানিয়ে দিন এবং তাদের কাছ থেকে প্রতিক্রিয়া জানুন।
- তাদের সিদ্ধান্তকে সম্মান করুন: যদি তারা আপনার সীমাগুলো মেনে না চলে, তাহলে তাদের সিদ্ধান্তকে সম্মান করুন এবং তাদের সাথে শান্তভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করুন।
- ধৈর্য ধরুন: তাদের আপনার সীমাগুলো মেনে নিতে সময় লাগতে পারে। ধৈর্য ধরুন এবং তাদের সাথে কাজ করতে ইচ্ছুক হোন।
- প্রয়োজনে আপস করুন: আপনার এবং তাদের উভয়ের জন্য কাজ করে এমন সমাধান খুঁজে বের করার জন্য আপস করতে ইচ্ছুক হোন।
- একজন মধ্যস্থতাকারীর সাহায্য নিন: যদি আপনি নিজেরাই সীমা নির্ধারণ করতে বা তাদের সাথে যোগাযোগ করতে অসুবিধা বোধ করেন, তাহলে একজন নিরপেক্ষ পারিবারিক বন্ধু বা থেরাপিস্টের সাহায্য নিন।
সীমা
নির্ধারণ আপনাকে এবং আপনার শ্বশুর-শাশুড়িকে আরও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতে সাহায্য করবে। এটি আপনাদের মধ্যে স্পষ্টতার স্তর তৈরি করবে এবং একে অপরের ব্যক্তিগত জায়গাকে সম্মান করতে সাহায্য করবে।
এখানে
কিছু অতিরিক্ত টিপস রয়েছে যা আপনাকে শ্বশুর-শাশুড়ির সাথে সীমা নির্ধারণ করতে সাহায্য করতে পারে:
- নিজের প্রতি সৎ থাকুন: আপনি কী চান এবং কী চান না তা সম্পর্কে নিজের সাথে সৎ থাকুন।
- আত্মবিশ্বাসী হোন: আপনার সীমাগুলো নির্ধারণ করার এবং সেগুলো বজায় রাখার ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসী হোন।
- শান্ত ও শ্রদ্ধাশীল থাকুন: যখন আপনি তাদের সাথে সীমা নির্ধারণ করার বিষয়ে আলোচনা করেন তখন শান্ত ও শ্রদ্ধাশীল থাকুন।
- আপনার এবং আপনার স্বামীর জন্য স্বাস্থ্যকর সীমা নির্ধারণ করুন এবং সেগুলো শ্বশুর-শাশুড়িকে জানিয়ে দিন।
- তাদের ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ করবেন না এবং তাদের সিদ্ধান্তের প্রতি সমালোচনামূলক মনোভাব রাখবেন না।
- আপনার স্বামীর সাথে খোলামেলা যোগাযোগ বজায় রাখুন এবং পারিবারিক সিদ্ধান্ত একসাথে নিন।
৫.
ধৈর্য্য:
শ্বশুর-শাশুড়ির সাথে ধৈর্য্য ধরা:
ভূমিকা:
শ্বশুর-শাশুড়ির সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য ধৈর্য্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নতুন পরিবারের সাথে মানিয়ে নিতে এবং তাদের সাথে শক্তিশালী বন্ধন তৈরি করতে সময় এবং প্রচেষ্টার প্রয়োজন। ধৈর্য্য ধরে এবং তাদের সাথে কাজ করে আপনি পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সম্মানের ভিত্তি
তৈরি করতে পারেন।
কিভাবে
শ্বশুর-শাশুড়ির সাথে ধৈর্য্য ধরবেন:
- মনে রাখবেন, তারাও আপনার মতোই ব্যক্তি: তাদের ভিন্ন অভিজ্ঞতা, পটভূমি, এবং দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। তাদের সাথে সহানুভূতিশীল হোন এবং তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে জিনিসগুলো দেখার চেষ্টা করুন।
- তাদের ভুলগুলো ক্ষমা করুন: প্রত্যেকেই ভুল করে। তাদের ভুলগুলো ক্ষমা করার চেষ্টা করুন এবং এগিয়ে যেতে ইচ্ছুক হোন।
- তাদের সাথে ইতিবাচক মনোভাব বজায় রাখুন: তাদের সাথে সময় কাটানো উপভোগ করুন এবং তাদের সাথে ইতিবাচক অভিজ্ঞতা তৈরি করার চেষ্টা করুন।
- তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করুন: তাদের সাথে ফোনে কথা বলুন, দেখা করুন, বা তাদের সাথে সময় কাটান।
- তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন: তাদের জন্য যা কিছু করেন তার জন্য তাদের প্রশংসা করুন এবং তাদের ভালোবাসা ও স্নেহের জন্য কৃতজ্ఞতা প্রকাশ করুন।
- তাদের সাথে মতবিরোধ সমাধান করুন: যদি মতবিরোধ হয়, তাহলে ঠান্ডা মাথায় এবং শ্রদ্ধার সাথে তা সমাধানের চেষ্টা করুন। রাগ-অভিমান এড়িয়ে চলুন এবং একে অপরের দৃষ্টিভঙ্গি বোঝার চেষ্টা করুন।
- তাদের সাথে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করুন: তাদের রীতিনীতি, ঐতিহ্য এবং পছন্দগুলোকে মেনে নেওয়ার চেষ্টা করুন।
- তাদের সাথে নতুন জিনিস শিখুন: তাদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং ভাষা সম্পর্কে জানুন।
- তাদের সাথে হাসি-খুশি সময় কাটান: তাদের সাথে মজা করুন, তাদের সাথে গল্প করুন এবং তাদের সাথে হাসি-খুশি সময় কাটান।
ধৈর্য্য
ধরে আপনি শ্বশুর-শাশুড়ির সাথে দীর্ঘস্থায়ী এবং সুন্দর সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারেন। মনে রাখবেন, সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য সময় লাগে এবং ধৈর্য্য ধরা গুরুত্বপূর্ণ। ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে, তবে ঠান্ডা মাথায় সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করুন এবং ইতিবাচক দিকগুলোতে মনোযোগ দিন।
- মনে রাখবেন, সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য সময় লাগে। ধৈর্য ধরুন এবং দ্রুত পরিবর্তন আশা করবেন না।
- ভুল বোঝাবুঝি এবং মতবিরোধ হতে পারে। ঠান্ডা মাথায় সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করুন এবং রাগ-অভিমান এড়িয়ে চলুন।
- ইতিবাচক দিকগুলোতে মনোযোগ দিন এবং ছোট ছোট সাফল্যগুলো উপভোগ করুন।
সহনশীলতা
এবং সম্মতির মাধ্যমে সম্পর্ক উন্নত করা: শ্বশুর এবং শাশুড়ির মধ্যে প্রতিষ্ঠিত সম্পর্ক নিশ্চিত
করতে হলে, সহনশীলতা এবং সম্মতির মাধ্যমে প্রায় সব সমস্যা সমাধান করা যেতে পারে। এটি
সম্পর্কের জন্য ভালো প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি করে এবং তার অধীনে আদর ও সম্মতি বাড়ায়। বিবাহের পর নতুন পরিবারের সাথে
মানিয়ে নেওয়া অনেকের জন্যই চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। বিশেষ করে, শ্বশুর-শাশুড়ির সাথে
সুন্দর সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য সহনশীলতা ও সম্মতি প্রয়োজন।
কিভাবে
সহনশীলতা ও সম্মতি প্রদর্শন করবেন:
- তাদের পছন্দ-অপছন্দ ও মতামতকে
সম্মান করুন: আপনার সাথে তাদের মতামত না মিললেও, তাদের দৃষ্টিভঙ্গি
বোঝার চেষ্টা করুন এবং তাদের মতামতকে সম্মান করুন।
- তাদের ঐতিহ্য ও রীতিনীতি মেনে
নিন: তাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সম্পর্কে জানুন এবং তাদের
রীতিনীতি মেনে নেওয়ার চেষ্টা করুন।
- তাদের সাথে খোলামেলা যোগাযোগ বজায়
রাখুন: আপনার চিন্তাভাবনা, অনুভূতি এবং চাহিদাগুলো তাদের
সাথে শেয়ার করুন। তাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন এবং তাদের সাথে সৎ থাকুন।
- তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করুন: তাদের
সাথে ফোনে কথা বলুন, দেখা করুন, বা তাদের সাথে সময় কাটান।
- তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন: তাদের
জন্য যা কিছু করেন তার জন্য তাদের প্রশংসা করুন এবং তাদের ভালোবাসা ও স্নেহের
জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন।
- তাদের সাথে মতবিরোধ সমাধান করুন: যদি
মতবিরোধ হয়, তাহলে ঠান্ডা মাথায় এবং শ্রদ্ধার সাথে তা সমাধানের চেষ্টা করুন।
রাগ-অভিমান এড়িয়ে চলুন এবং একে অপরের দৃষ্টিভঙ্গি বোঝার চেষ্টা করুন।
- তাদের সাথে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা
করুন: তাদের রীতিনীতি, ঐতিহ্য এবং পছন্দগুলোকে মেনে নেওয়ার
চেষ্টা করুন।
- তাদের সাথে নতুন জিনিস শিখুন: তাদের
সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং ভাষা সম্পর্কে জানুন।
- তাদের সাথে হাসি-খুশি সময় কাটান: তাদের
সাথে মজা করুন, তাদের সাথে গল্প করুন এবং তাদের সাথে হাসি-খুশি সময় কাটান।
সহনশীলতা
ও সম্মতি আপনাকে শ্বশুর-শাশুড়ির সাথে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে
তুলতে সাহায্য করবে। এটি আপনাকে তাদের কাছাকাছি আনবে এবং তাদের প্রতি আপনার ভালোবাসা
ও সম্মান প্রকাশ করবে।
সম্মান
এবং শ্রদ্ধা প্রদর্শন: শ্বশুর-শাশুড়ির মধ্যে সম্মান এবং শ্রদ্ধা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এটি অন্যদের সহানুভূতি এবং সম্মানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান করতে সাহায্য করে। বিবাহের পর নতুন পরিবারের সাথে
মানিয়ে নেওয়া এবং সুন্দর সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য সম্মান ও শ্রদ্ধা অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ। শ্বশুর-শাশুড়িকে সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে আপনি তাদের সাথে দীর্ঘস্থায়ী
এবং শক্তিশালী বন্ধন তৈরি করতে পারেন।
কিভাবে
শ্বশুর-শাশুড়ির প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন করবেন:
- তাদের অভিজ্ঞতা ও জ্ঞানের প্রতি
শ্রদ্ধাশীল হোন: মনে রাখবেন, তারা আপনার থেকে অনেক বেশি জীবনযাপন
করেছেন এবং তাদের অনেক কিছু শেখার আছে। তাদের পরামর্শ গ্রহণ করুন এবং তাদের মতামতকে
মূল্য দিন।
- তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করুন: তাদের
সাথে ফোনে কথা বলুন, দেখা করুন, বা তাদের সাথে সময় কাটান।
- তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন: তাদের
জন্য যা কিছু করেন তার জন্য তাদের প্রশংসা করুন এবং তাদের ভালোবাসা ও স্নেহের
জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন।
- তাদের সাথে খোলামেলা যোগাযোগ বজায়
রাখুন: আপনার চিন্তাভাবনা, অনুভূতি এবং চাহিদাগুলো তাদের
সাথে শেয়ার করুন। তাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন এবং তাদের সাথে সৎ থাকুন।
- তাদের সাথে মতবিরোধ সমাধান করুন: যদি
মতবিরোধ হয়, তাহলে ঠান্ডা মাথায় এবং শ্রদ্ধার সাথে তা সমাধানের চেষ্টা করুন।
রাগ-অভিমান এড়িয়ে চলুন এবং একে অপরের দৃষ্টিভঙ্গি বোঝার চেষ্টা করুন।
- তাদের সাথে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা
করুন: তাদের রীতিনীতি, ঐতিহ্য এবং পছন্দগুলোকে মেনে নেওয়ার
চেষ্টা করুন।
- তাদের সাথে নতুন জিনিস শিখুন: তাদের
সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং ভাষা সম্পর্কে জানুন।
- তাদের সাথে হাসি-খুশি সময় কাটান: তাদের
সাথে মজা করুন, তাদের সাথে গল্প করুন এবং তাদের সাথে হাসি-খুশি সময় কাটান।
- তাদের সাথে উপহার দিন: তাদের
জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকী, বা অন্যান্য বিশেষ উপলক্ষে তাদের উপহার দিন।
- তাদের প্রয়োজনে সাহায্য করুন: যদি
তারা অসুস্থ হন বা সাহায্যের প্রয়োজন হয় তবে তাদের পাশে থাকুন।
- তাদের সাথে ভ্রমণ করুন: তাদের
সাথে ছুটিতে যান বা তাদের সাথে নতুন জায়গায় ঘুরতে যান।
সম্মান
ও শ্রদ্ধা আপনাকে শ্বশুর-শাশুড়ির সাথে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে
তুলতে সাহায্য করবে। এটি আপনাকে তাদের কাছাকাছি আনবে এবং তাদের প্রতি আপনার ভালোবাসা
ও সম্মান প্রকাশ করবে।
স্বচ্ছতা
এবং স্বতন্ত্রতা: স্বচ্ছতা এবং স্বতন্ত্রতা শ্বশুর-শাশুড়ির মধ্যে সৃষ্টি
করে এবং প্রতিষ্ঠান করে। এই দুটি গুণ সম্পর্কে প্রতিষ্ঠান এবং বৃদ্ধি করে এবং অবসাদ
এবং আত্মঘাত বাধাও উন্নত করে।
বিবাহের পর নতুন পরিবারের সাথে মানিয়ে নেওয়া এবং সুন্দর সম্পর্ক গড়ে তোলার
জন্য স্বচ্ছতা ও স্বতন্ত্রতা বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। শ্বশুর-শাশুড়ির সাথে
স্বচ্ছ ও স্বাধীনভাবে যোগাযোগ করে আপনি তাদের সাথে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সম্মানের ভিত্তি
তৈরি করতে পারেন।
কিভাবে
শ্বশুর-শাশুড়ির সাথে স্বচ্ছতা ও স্বতন্ত্রতা বজায় রাখবেন:
- তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করুন: তাদের
সাথে আপনার জীবন, কাজ এবং ভবিষ্যতের পরিকল্পনা সম্পর্কে কথা বলুন। তাদের কথা মনোযোগ
দিয়ে শুনুন এবং তাদের সাথে খোলামেলা যোগাযোগ বজায় রাখুন।
- তাদের সাথে সীমা নির্ধারণ করুন: আপনি
তাদের সাথে কতটা ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করতে চান এবং আপনার সম্পর্কের ক্ষেত্রে
আপনি তাদের কতটা জড়িত থাকতে চান তা স্পষ্টভাবে জানান।
- তাদের সাথে সম্মানের সাথে আচরণ
করুন: তাদের পছন্দ, সিদ্ধান্ত এবং মতামতকে সম্মান করুন,
এমনকি যদি আপনি সেগুলোর সাথে একমত না হন।
- তাদের সাথে আপনার স্বাধীনতা বজায়
রাখুন: আপনার নিজের সিদ্ধান্ত নেওয়ার এবং আপনার নিজের জীবনযাপন
করার অধিকার রয়েছে।
- তাদের সাথে আপনার স্বামীর/স্ত্রীর
সাথে আপনার সম্পর্ক সম্পর্কে কথা বলুন: তাদের জানান যে আপনি এবং
আপনার স্বামী/স্ত্রী একটি দল এবং আপনারা একসাথে সিদ্ধান্ত নেন।
- তাদের সাথে আপনার ভুল থেকে শেখার
ইচ্ছা প্রকাশ করুন: সকলেই ভুল করে এবং তাদের কাছ থেকে শেখার জন্য প্রস্তুত
থাকুন।
- তাদের সাথে আপনার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
করুন: তাদের সমর্থন ও ভালোবাসার জন্য তাদের ধন্যবাদ জানান।
- তাদের সাথে মজা করুন: তাদের
সাথে সময় কাটানো উপভোগ করুন এবং তাদের সাথে হাসি-খুশি সময় কাটান।
স্বচ্ছতা
ও স্বতন্ত্রতা আপনাকে শ্বশুর-শাশুড়ির সাথে আরও শক্তিশালী এবং সুস্থ
সম্পর্ক গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। এটি আপনাদের মধ্যে বিশ্বাস ও বোঝাপড়া তৈরি করবে
এবং একে অপরের ব্যক্তিগত জায়গাকে সম্মান করতে সাহায্য করবে।
যোগাযোগ
ও সাংস্কৃতিক বিনিময়: শ্বশুর-শাশুড়ির মধ্যে যোগাযোগ ও সাংস্কৃতিক বিনিময় অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ। এটি ব্যক্তিগত এবং পেশাদার সাহসীতা এবং সামাজিক সম্পর্ক উন্নত করে।
সময় পরিচালনা
করা: শ্বশুর-শাশুড়ির মধ্যে সময়ের সঠিক ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনার
মধ্যে সামগ্রিক সম্পর্ক বাড়াতে সাহায্য করে এবং সময়ের মান বৃদ্ধি করে।
উপসংহার:
শ্বশুর-শাশুড়ির সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলা সম্ভব, তবে এর জন্য আপনাকে
প্রচেষ্টা করা ।
muslim marriage site